রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
কিডনি সুস্থ থাকলে পুরো শরীর সুস্থ থাকে। কিডনি সুস্থ রাখতে হলে আমাদের কিছু নিয়মিত অভ্যাস এবং পালনীয় করনীয় বিষয় রয়েছে।
পানির পরিমাণ ঠিক রাখুন
গ্রীষ্মের সময় শরীর ডিহাইড্রেশন হয়ে যায়। প্রচুর ঘাম থেকে শরীরে হয় পানির স্বল্পতা। এই স্বল্পতা কাটাতে ঘড়ি ধরে নিয়ম করে পানি খাবেন। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা অবশ্যই মূল বিষয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে পানিসমৃদ্ধ ফল খাওয়ার পরিমাণও বাড়িয়ে নিন। কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের জন্য গ্রীষ্মের তরমুজ খেতে পারেন।
লবণের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করুন
অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে সাবধান থাকুন। এই অভ্যাস রক্তচাপ বাড়ায়, যা কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। স্বাদের কারণে অনেকেই খাবারে অতিরিক্ত লবণ যুক্ত করে খান। এটা কিডনির চরম শত্রু। খাবারে লবণের পরিমাণ সীমিত করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন সাধারণত ৭ থেকে ১০ গ্রাম লবণ খাওয়া হচ্ছে। এটা কমিয়ে ৪ থেকে ৫ গ্রাম লবণ খাওয়ার অভ্যাস করুন। অতিরিক্ত লবণ খেলে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপসহ মূত্রথলির রোগও বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ
যদিও খাবার হজমের জন্য ফাইবার খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এটি কিডনি ভালো রাখার জন্যও সমানভাবে উপকারী। দীর্ঘ সময় ধরে কিডনি রোগীদের আক্রান্ত রোগীদের আরও বেশি ফাইবার গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। এর জন্য় আপনার প্রতিদিনের খাবারে যেমন শিম, মটর, তরমুজ ইত্যাদিতে ফাইবার যুক্ত খাবার যুক্ত করতে পারেন।
বাইরে খাওয়া এড়িয়ে চলুন
রেস্টুরেন্টে খাওয়া এখন প্রতিদিনের অভ্যাসে দাড়িয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় কিংবা পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেও এখন সবাই রেস্টুরেন্টে যান। অনেকের আবার ঘরের চেয়ে বাইরের খাবারই বেশি পছন্দ। বাইরে খাওয়ার এই অভ্যাস কমিয়ে নিন। কারণ বাইরে আমরা যে খাবারগুলো খাই তা সাধারণত অস্বাস্থ্যকর। খাদ্য বিষক্রিয়া, বদহজমের পাশাপাশি এই খাবারগুলো কিডনিতে সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। কারণ এসব খাবারের স্বাদ বাড়াতে চিনি, লবণ, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ইত্যাদি যুক্ত থাকে।
ভারী ব্যায়ামে সতর্ক হোন
জীবনযাত্রাকে সক্রিয় রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চারও পরামর্শ দিয়েছেন। তবে অতিরিক্ত ভারী ব্যায়াম আপনার কিডনির জন্য ক্ষতিকর বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই জানা নেই, অতিরিক্ত ব্যায়াম পেশীগুলোকে আঘাত করে যা কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। এ কারণে মাঝে মাঝে রক্ত প্রবাহে প্রোটিন ফুটো হয়ে যায়, যার ফলস্বরূপ কিডনির কার্যক্ষমতা হারাতে পারে।
ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে সতর্ক হোন
ইন্ডোমেথাসিন, কম্বিফ্লাম, আইবুপ্রোফেন, অ্যাসপিরিনের মতো ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলুন। এই ওষুধগুলোর দীর্ঘ সময় সেবনে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
সবশেষ কিডনির সুস্থতা নিয়ে ভারতের ডাক্তার আগারওয়ালের বক্তব্য মেনে চলাও উত্তম হতে পারে। তিনি বলেন, “কিডনি শরীরকে সক্রিয় রাখে। তাই কিডনিকে সক্রিয় রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, ধূমপান এড়িয়ে চলুন, প্রতিদিন অনুশীলন করুন, ব্যথানাশক ওষুধ গ্রহন এড়িয়ে চলুন।
ভয়েস/ জেইউ।